Bajaj Bikes Loan/EMI Facility


বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ,”আমার স্বাধ আছে সাধ্য নেই”। এই কথাটি বলার কারন হলো ,আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের লোভনীয় বা পছন্দনীয় জিনিস গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বাইক। বাইক কেনার আশা বা ইচ্ছে নেই এমন মানুষ খুজলেও হয়তো পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। বাইক কেনার ইচ্ছে থাকলেও আমরা অনেকেই অর্থনৈতিক সামর্থ্য না থাকার কারনে বাইক কিনতে পারিনা। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত প্রায় প্রতিটি ব্র্যান্ডই কিস্তিতে মোটরসাইকেল ক্রয় করার সুব্যবস্থা করেছেন গ্রাহকদের জন্য। বাজাজ কোম্পানির মোটরসাইকেল গুলি আপনারা কিভাবে কিস্তিতে কিনতে পারবেন তা নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করব।

বর্তমানে অত্যান্ত জনপ্রিয় একটি মোটরসাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হলো বাজাজ। গ্রাহকদের আর্থিক অবস্থার কথা চিন্তা করে এবার কিস্ততে মোটরসাইকেল বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজাজ। তবে এক্ষেত্রে কিছু নিয়মনীতির মধ্য দিয়ে এগোতে হবে ক্রেতাদের।

ইএমআই/কিস্তিতে বাইক কিনতে করনীয়ঃ
১। আপনি যদি কোনো বাইক কিস্তিতে কেনার জন্যে পছন্দ করে থাকেন, তাহলে আপনাকে প্রথমে কিস্তিতে বাইক কেনার জন্য বাইক ঋণের যোগ্যতা যাচায় করে দেখতে হবে যে আপনি এই বাইকটি কেনার জন্য যোগ্য প্রার্থী কিনা।

২। এরপর আপনার কাজ হলো আপনি কত মেয়াদের জন্যে লোন নিতে চান তা নির্ধারন করতে হবে। কিস্তির পরিমান এবং সুদের হার জানার জন্য আপনি বাজাজ অটো ফাইন্যান্স টু হুইলার লোন ইএমআই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারেন।

৩। এখন আপনি অনলাইনে টু হুইলার লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন। এখানে আপনাকে আপনার প্রাথমিক বিবরণ সহ ব্যক্তিগত বিবরণ প্রদান করতে হবে। প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার পর আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার ঋণ অনুমোদিত হয়েছে কি না।

৪। আপনার ঋণ যদি অনুমোদিত হয়ে যায় তাহলে বাজাজ অটো ফাইন্যান্স এর একজন প্রতিনিধি আপনাকে আরও সহায়তা প্রদানের জন্য কল করবে।

ডাউন পেমেন্টঃ
বাইক লোনগুলি দিনদিন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এর কারন হচ্ছে নূন্যতম সুদের হার,দ্রুত ঋন অনুমোদন,দীর্ঘমেয়াদে পরিশোধের সুবিধা ইত্যাদি। প্রতিটা কিস্তি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমান ডাউন পেমেন্ট দিতে হয়। বাজাজ অটো ফাইন্যান্স গ্রাহকের ঋন পরিশোধের সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে 0% থেকে 30% পর্যন্ত ডাউন পেমেন্ট নিয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি তিন লাখ টাকা মূল্যের একটি বাইক কিনেন তাহলে আপনাকে সর্বোচ্চ নব্বই হাজার টাকা পর্যন্ত ডাউন পেমেন্ট দিতে হতে পারে। আর বাকি টাকাটা কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন।

ডাউন পেমেন্ট মূলত বাইকের মূল্য এবং ক্রেতার লোন পরিশোধের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। আপনি যতো বেশি টাকা ডাউন পেমেন্ট হিসেবে দেবেন আপনার কিস্তির পরিমান ততোই কম হবে।কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্রাহকের আয়ের উৎস এবং গ্রাহক কি ধরনের বাইক কেনার পরিকল্পনা করছেন তার উপরও ডাউন পেমেন্ট নির্ভর করে।

লোন প্রসেসিং কস্টঃ
বাইকের নির্দিষ্ট মূল্যের পাশাপাশি লোন প্রসেসিং এর জন্য অতিরিক্ত কিছু টাকা ব্যয় হয় যা ক্রেতাকে পরিশোধ করতে হয়।যেমন লোন প্রসেসিং ফি,ঋণের অনুরোধ প্রক্রিয়াকরণ ফি ইত্যাদি। এই ফি গুলো মূলত মোট ঋনের পরিমানের উপর নির্ভর করে ।ঋনের পরিমান বেশি হলে আনুপাতিক হারে ফি এর পরিমানও বাড়ে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং শর্তঃ
১. ঋণ আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৬৫ বছর হতে হবে।

২. ঋণ আবেদনকারীকে কমপক্ষে এক বছর সময়ের জন্য একই বাড়িতে বসবাস করতে হবে।

৩. ঋণ আবেদনকারীকে এক বছরের জন্য চাকরিতে স্থিতিশীল থাকতে হবে ।

৪. আবেদনকারীর একটি স্থায়ী টেলিফোন নম্বর থাকতে হবে সেই সাথে কেওয়াইসি এবং অন্যান্য সম্পর্কিত নথি থাকতে হবে।

৫. জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের ফটোকপি।

৬. ঠিকানার প্রমাণ-দলিল, যেমন গ্রাহকের নিজ বাসার শেষ তিন মাসের বিদ্যুৎ বিলের কপি।

৭. ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।

৮. গ্রহকের একটি সক্রিয় ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে এবং শেষ তিন থেকে ছয় মাসের ব্যাংকের স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে।

৯. ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে হালনাগাদকৃত ট্রেড লাইসেন্স জমা দিতে হবে, তবে সেটা চলতি বছরের না হলেও চলবে। চাকরিজীবীদের ক্ষত্রে সেলারি সিট বা বেতন স্লিপ জমা দিতে হবে।

মোটকথা আপনি যে এই লোন পরিশোধে সক্ষম সে বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে । তাহলেই আপনার লোনটি অনুমোদিত হবে এবং আপনি কিস্তিতে বাইক কিনতে পারবেন।